সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য ৫ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান
পঞ্চম শ্রেণি
প্রাথমিক বিজ্ঞান
অধ্যায় ৬ - সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য
০১। নিচের প্রশ্নের উত্তর সংক্ষেপে উত্তরপত্রে লেখ :
ক. খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় বর্ণনা করি।
উত্তর: খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় নিচে বর্ণনা করা হলো-
১. রোদে
শুকিয়ে সংরক্ষণ: এ পদ্ধতিতে খাদ্যদ্রব্যকে রোদে শুকিয়ে জীবাণুমুক্ত করে সংরক্ষণ
করা হয়। যেমন- চাল, ডাল, গম ইত্যাদি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।
২. ফ্রিজ ও
হিমাগারে সংরক্ষণ: মাছ, মাংস, সবজি, ফল ইত্যাদি ফ্রিজের
ঠান্ডায় কিছু দিন ভালো থাকে। এছাড়াও হিমাগারে শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি
দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে বাজারে সরবরাহ করা হয়।
৩. বায়ুরোধী
পাত্রে সংরক্ষণ: ফল থেকে তৈরি জ্যাম, জেলি,
আচার ইত্যাদি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়।
খ. খাদ্য
সংরক্ষণের উপকারিতা কী?
উত্তর: খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা হলো-
১. খাদ্যের
অপচয় রোধ করে ও দ্রুত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করে।
২. খাবারে
পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়।
৩. বিভিন্ন
মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়।
৪. অনেক
দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ করা যায়।
গ. সুষম
খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর: সুষম খাদ্য গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা নিচে উল্লেখ করা
হলো-
১.
প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণের জন্য।
২. শারীরিক
দুর্বলতা হ্রাস ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।
৩.
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।
৪. শিশুর
স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ অব্যাহত রাখার জন্য।
ঘ. কীভাবে
আমরা সুষম খাদ্য পেতে পারি?
উত্তর: সঠিক খাদ্য তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে আমরা সুষম খাদ্য পেতে
পারি। এক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে প্রতিদিনের অর্থাৎ সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারে যেন প্রয়োজনীয় ৬টি খাদ্য উপাদান
উপস্থিত থাকে। মোটকথা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা নির্বাচনে খাদ্যের পুষ্টিগত দিকটির
উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
ঙ. কোন কোন
খাদ্যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: খাবারকে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করতে অনেক খাবারে কৃত্রিম রং
মেশানো হয়। কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয় এমন খাদ্যগুলো হলো-
১. মিষ্টি,
২. জেলি,
৩. চকলেট,
৪. আইসক্রিম,
৫. কেক,
৬. চিপস,
৭. কোমল
পানীয় ইত্যাদি।
চ. নিরাপদ
খাদ্য গ্রহণ না করলে কী কী হতে পারে?
উত্তর: নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ না করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
যেমন-
১. নানা
প্রকার রোগব্যাধি হতে পারে।
২. শরীর
দুর্বল হয়ে পড়ে।
৩.
অপুষ্টিজনিত সমস্যা হতে পারে।
৪. শরীরের
কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
ছ. সুষম
খাদ্য কী?
উত্তর: সুষম খাদ্য বলতে এমন খাদ্যকে বুঝি, যা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পুষ্টি সঠিক
পরিমাণে সরবরাহ করে। এতে শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি, এই ছয়টি খাদ্য উপাদানই উপস্থিত থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে।
জ. শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার তিনটি ক্ষতিকর দিক লেখ।
উত্তর: শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার তিনটি ক্ষতিকর
দিক হলো-
১. শিশুর
স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।
২. শিশুর
মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।
৩. শরীর
দুর্বল হয়ে পড়বে।
ঝ. সুষম খাদ্য গ্রহণের তিনটি প্রয়োজনীয়তা লেখ।
উত্তর: সুষম খাদ্য গ্রহণের তিনটি প্রয়োজনীয়তা হলো-
১. সুস্থ ও
সবল থাকার জন্য।
২. শরীরের
কর্মক্ষমতা বজায় রাখার জন্য।
৩. রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য।
ঞ. তিনটি আমিষ জাতীয় খাদ্যের নাম লেখ।
উত্তর: তিনটি আমিষ জাতীয় খাদ্যের নাম হলো-
১. মাছ, ২. মাংস ও ৩. ডিম।
ট. খাদ্য
সংরক্ষণের তিনটি গুরুত্ব লেখ।
উত্তর: খাদ্য সংরক্ষণের তিনটি গুরুত্ব নিচে উল্লেখ করা হলো-
১. খাদ্য
সংরক্ষণ অপচয় রোধ করে,
২. দ্রুত
পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করে ও
৩. খাদ্য
সংরক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়।
ঠ. মাছ, মাংস রেফ্রিজারেটরে রাখার তিনটি সুবিধা লেখ।
উত্তর: মাছ, মাংস রেফ্রিজারেটরে
রাখার তিনটি সুবিধা হলো-
১. মাছ, মাংসকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।
২. খাদ্যের
পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে।
৩. দীর্ঘদিন
সংরক্ষণের পর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ড. তেল দিয়ে
সংরক্ষণ করা হয় এমন তিনটি খাদ্যের নাম লেখ।
উত্তর: তেল দিয়ে সংরক্ষণ করা হয় এমন তিনটি খাদ্য হলো-
১. জলপাই, ২. বরই ও ৩. আম।
ঢ. খাদ্য
সংরক্ষণের তিনটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নাম লেখ।
উত্তর: খাদ্য সংরক্ষণের তিনটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো-
১. ফ্রিজে
সংরক্ষণ,
২. হিমাগারে সংরক্ষণ ও ৩. টিন বা বায়ুরোধী পাত্রে
সংরক্ষণ।
ণ. তিনটি
রাসায়নিক দ্রব্যের নাম লেখ যা খাদ্যে মেশানো হয়।
উত্তর: খাদ্যে মেশানো হয় এরকম তিনটি রাসায়নিক দ্রব্যের নাম হলো- ১.
কৃত্রিম রং, ২. ফরমালিন ও ৩. কার্বাইড।
ত. কৃত্রিম
রং ব্যবহার করা হয় এমন তিনটি খাবারের নাম লেখ।
উত্তর: কৃত্রিম রং মিশ্রিত তিনটি খাবারের নাম হলো-
১. মিষ্টি, ২. জেলি ও ৩. আইসক্রিম।
থ. খাদ্য
সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন ব্যবহার ক্ষতিকর কেন তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: খাদ্য সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন ব্যবহার ক্ষতিকর হওয়ার কারণ
তিনটি বাক্যে নিচে উল্লেখ করা হলো-
১. ফরমালিন
মিশ্রিত খাবার গ্রহণের ফলে বৃক্ক ও যকৃৎ অকার্যকর হতে পারে।
২. ফরমালিন
মিশ্রিত খাবার খেলে ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে।
৩. খাদ্যের
পুষ্টিগুণ নষ্ট করে।
দ. কার্বাইড
মিশ্রিত ফল খাওয়ার তিনটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
উত্তর: কার্বাইড মিশ্রিত ফল খাওয়ার তিনটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-
১. বৃদ্ধ ও
যকৃৎ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে,
২. পেট
ব্যথা,
ডায়রিয়া ও হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে ও
৩.
ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে।
ধ. কেন
কিডনি ও লিভার অকার্যকর হতে পারে?
উত্তর: ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ যেমন- কৃত্রিম রং, ফরমালিন, কার্বাইড মিশ্রিত
খাদ্য গ্রহণের ফলে কিডনি ও লিভার অকার্যকর হতে পারে।
ন. তোমার
বাড়িতে খাদ্য সংরক্ষণের তিনটি উপায় লিখ।
উত্তর: আমার বাড়িতে খাদ্য সংরক্ষণের তিনটি উপায় হলো-
১.
রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ,
২. রোদে
শুকিয়ে সংরক্ষণ ও
৩. টিন বা
বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ।
প. জাঙ্ক
ফুড কী?
উত্তর: জাঙ্ক ফুড হচ্ছে এক ধরনের কৃত্রিম খাদ্য, যাতে অত্যধিক চিনি, লবণ ও চর্বি থাকে। যেমন- বার্গার, পিজা,
পটেটো চিপস, কোমল পানীয় ইত্যাদি।
ফ. তিনটি
জাঙ্ক ফুডের নাম লেখ।
উত্তর: তিনটি জাঙ্ক ফুডের নাম হলো-
১. বার্গার, ২. পটেটো চিপস ও ৩. ফ্রাইড চিকেন।
ব. জাঙ্ক
ফুড খাওয়ার তিনটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
উত্তর: জাঙ্ক ফুড খাওয়ার তিনটি ক্ষতিকর দিক হলো-
১. অতিরিক্ত
মোটা হয়ে যেতে পারে।
২.
পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারে।
৩. শরীরের
কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
ভ. তেল ও
চর্বি জাতীয় তিনটি খাদ্যের নাম লেখ।
উত্তর: তেল ও চর্বি জাতীয় তিনটি খাদ্য হলো-
১. ঘি, ২. মাখন ও ৩. সয়াবিন তেল।
ম. আঁশ
জাতীয় খাদ্যের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: আঁশ জাতীয় খাদ্যের তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১.
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে,
২. হজম
শক্তি বৃদ্ধি করে ও
৩. রক্তে
শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
য. আঁশ
জাতীয় খাদ্যের তিনটি নাম লেখ।
উত্তর: আঁশ জাতীয় খাদ্যের তিনটি নাম হলো-
১. ফলমূল, ২. ঢেঁকিছাঁটা চাল ও ৩. বিভিন্ন প্রকারের শাকসবজি।
র. খাদ্য
সংরক্ষণের ৩টি উপায় বর্ণনা করি।
উত্তর: খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় হলো-
১. রোদে
শুকিয়ে সংরক্ষণ: খাদ্যদ্রব্যকে রোদে শুকিয়ে জীবাণুমুক্ত করে সংরক্ষণ করা হয়, যেমন চাল, ডাল, গম ইত্যাদি।
২. ফ্রিজ ও
হিমাগারে সংরক্ষণ: মাছ, মাংস, সবজি, ফল ইত্যাদি ফ্রিজ
বা হিমাগারে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘ সময় ভালো থাকে।
৩. বায়ুরোধী
পাত্রে সংরক্ষণ: ফলমূল প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি জ্যাম, জেলি,
আচার ইত্যাদি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা যায়।
ল. খাদ্য
সংরক্ষণের উপকারিতা কী?
উত্তর: খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা হলো-
১. খাদ্য
সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করলে খাদ্য অপচয় রোধ হয়।
২. দ্রুত
পচন থেকে খাদ্য রক্ষা পায়।
৩. মৌসুমি
খাদ্য সারাবছর পাওয়া যায়।
৪. দূরবর্তী
এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ করা যায়।
৫.
ভবিষ্যতের খাদ্য চাহিদা পূরণ করা যায়।
শ. সুষম
খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেনো?
উত্তর: সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কারণ—
১.
প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করার জন্য।
২. শারীরিক
দূর্বলতা হ্রাস ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।
৩. শিশুর
স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ অব্যাহত রাখার জন্য।
৪. রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।
ষ. কীভাবে
আমরা সুষম খাদ্য পেতে পারি?
উত্তর: সুষম খাদ্যে সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান পরিমাণ মতো থাকে।
খাদ্য দলের প্রতিটি থেকে সঠিক পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করে আমরা সুষম খাদ্য পেতে
পারি।
স. কোন কোন
খাদ্যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: মিষ্টি, জেলি, চকলেট, আইসক্রিম, কেক, চিপস, কোমল পানীয় ইত্যাদি খাদ্যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়।
হ. নিরাপদ
খাদ্য গ্রহণ না করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর: খাদ্য নিরাপদ না হলে শরীরের কোনো কাজে আসে না এবং নানা
প্রকার রোগব্যাধি হয়। ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে বৃক্ক ও যকৃৎ
অকার্যকর হতে পারে, ক্যান্সারের মতো
রোগ হতে পারে।
ড়. শিশুর
প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার দুটি ক্ষতিকর দিক লেখো।
উত্তর: শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার দুটি ক্ষতিকর দিক
হলো—
১.
স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
২. মানসিক
বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
ঢ় দুটি
রাসায়নিক দ্রব্যের নাম লেখো, যা খাদ্যে মেশানো
হয়।
উত্তর: খাদ্যে মেশানো হয়— ১. কার্বাইড ২. কৃত্রিম রং।
য. খাদ্য সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন ব্যবহার ক্ষতিকর কেনো তা দুটি
বাক্যে লেখো।
উত্তর: ফরমালিন মিশ্রিত খাবার গ্রহণের ফলে বৃক্ক ও যকৃৎ অকার্যকর
হতে পারে এবং ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি হতে পারে।
কক. মাছ, মাংস রেফ্রিজারেটরে
রাখার দুটি সুবিধা লেখো।
মাছ ও মাংস
রেফ্রিজারেটরে রাখলে—
১. বেশ
কিছুদিন ভালো থাকে।
২. বছরের
বিভিন্ন সময় বাজারে সরবরাহ করা যায়।
খখ. সুষম খাদ্য গ্রহণের দুটি প্রয়োজনীয়তা লেখো।
উত্তর: সুষম খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা—
১. শরীর
সুস্থ ও সবল রাখে।
২. শরীরের
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
গগ. কার্বাইডমিশ্রিত ফল খাওয়ার একটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখো।
উত্তর: কার্বাইড মিশ্রিত ফল খাওয়ার ফলে যকৃৎ অকার্যকর হয়ে যেতে
পারে।
ঘঘ. কেনো কিডনী ও লিভার অকার্যকর হতে পারে?
উত্তর: কার্বাইড জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে কিডনী
ও লিভার অকার্যকর হতে পারে।
ঙঙ. কৃত্রিম রং মিশ্রিত দুটি খাবারের নাম লেখো।
উত্তর: কৃত্রিম রং মিশ্রিত খাবার— ১. চকলেট ২. আইসক্রিম।
চচ. কীভাবে সারা বছর জলপাই খাওয়া যাবে?
উত্তর: চিনি, সিরকা বা তেল দিয়ে
জলপাই সংরক্ষণ করলে সারা বছর জলপাই খাওয়া যাবে।
ছছ. পরিমিত খাদ্য কী?
উত্তর: দেহকে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম রাখার জন্য পরিমাণমতো খাদ্যই হলো পরিমিত খাদ্য।
জজ. সুষম খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর: যেসব খাদ্যে খাদ্যের সব উপাদান পরিমিত পরিমাণে বিদ্যমান
থাকে,
তাকে সুষম খাদ্য বলে।
ঝঝ. তিনটি খাদ্য উপাদানের নাম লেখো।
উত্তর: শর্করা, আমিষ ও
ভিটামিন।
ঞঞ. মানুষের তিনটি মৌলিক চাহিদার নাম লেখো।
উত্তর: খাদ্য, বস্ত্র ও
বাসস্থান।
টট. খাদ্য সংরক্ষণের দুটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নাম লেখো।
উত্তর: ১. উচ্চ তাপে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা
২. হিমাগারে
সংরক্ষণ করা।
ঠঠ. জাঙ্কফুড কী?
উত্তর: জাঙ্কফুড হচ্ছে এক ধরনের কৃত্রিম খাদ্য যাতে চর্বি, লবণ, চিনি ইত্যাদি
ক্ষতিকারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে।
ডড. ফ্রুটলুপস কী?
উত্তর: ফ্রুটলুপস এক ধরনের খাবার। এতে পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ খুব
কম বা নেই বললেই চলে। উচ্চ মাত্রায় মিষ্টিযুক্ত শস্য দানা যা বিশেষ করে শিশুদের
জন্য তৈরি করা হয়।
ঢঢ. জাঙ্কফুডে কোন ধরনের উপাদান অধিক মাত্রায় থাকে?
উত্তর: জাঙ্কফুডে চর্বি, লবণ,
চিনি ইত্যাদি ক্ষতিকারক দ্রব্য অধিক মাত্রায় থাকে।
ণণ. সাধারণ খাবারের পরিবর্তে জাঙ্ক ফুড খেলে তোমার কী সমস্যা হবে?
উত্তর: জাঙ্ক ফুড খেলে পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হবে।
তত. অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর কী সমস্যা হয়?
উত্তর: অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ
বাধাগ্রস্ত হয়।
থথ. সুষম খাদ্য আমাদের কীভাবে সাহায্য করে?
উত্তর: সুষম খাদ্য আমাদের দেহের গঠন, বৃদ্ধি সাধন, ক্ষয়পূরণ ও
তাপশক্তি জোগান দিতে সাহায্য করে।
দদ. ডাল জাতীয় খাবার সারা বছর ধরে খাওয়ার জন্য তুমি কী পরামর্শ
দিবে?
উত্তর: ডাল জাতীয় খাবার সারা বছর ধরে খাওয়ার জন্য ভালো করে রোদে
শুকিয়ে সংরক্ষণের পরামর্শ দিবো।
০২। নিচের
প্রশ্নের উত্তর উত্তরপত্রে লেখ :
ক. একটি
বার্গারে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন- গরু ও মুরগির মাংস, টমেটো, লেটুস, পনির, পাউরুটি ইত্যাদি
থাকে। তারপরেও খুব বেশি বার্গার খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কেন?
উত্তর: একটি বার্গারে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন- গরু ও মুরগির মাংস, টমেটো, লেটুস, পনির, পাউরুটি ইত্যাদি
থাকে। তারপরেও খুব বেশি বার্গার খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ- বার্গার
জাঙ্ক ফুড জাতীয় খাবার। জাঙ্ক ফুড সুস্বাদু হলেও সুষম খাদ্য নয়। জাঙ্ক ফুডে বা
বার্গারে অত্যধিক চিনি, লবণ ও চর্বি থাকে
যা শরীরের জন্য খুব সামান্যই দরকার হয়। সাধারণ খাবারের বদলে বেশি পরিমাণে বার্গার
খেলে পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন
বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এ কারণেই বেশি পরিমাণে বার্গার
খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
খ. খাদ্য
সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা কীভাবে উপকৃত হই?
উত্তর: খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হই।
যেমন-
১. খাদ্যের
অপচয় রোধ ও দ্রুত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করার মাধ্যমে।
২. বিভিন্ন
মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়ার মাধ্যমে।
৩. অনেক
দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহের মাধ্যমে।
গ. খাদ্যে
রাসায়নিকের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: খাবারকে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করতে অসাধু ব্যবসায়ীরা খাবারে
বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে থাকে। খাবার সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন, ফল পাকানোর জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন- কার্বাইড
ব্যবহার করে। এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে মানুষের
বৃক্ক ও যকৃত অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। অ্যাজমা, বৃদ্ধি কমে যাওয়াসহ ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। এসব কারণেই খাদ্যে
রাসায়নিকের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
ঘ. পরিমিত
খাদ্য কী?
খাবারে মেশানো হয় এমন দুইটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের নাম
লেখ। নিয়মিত প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ না করার ফলে সৃষ্ট চারটি সমস্যা লেখ।
উত্তর: দেহের চাহিদা মেটানোর জন্য যে পরিমাণ খাদ্য প্রয়োজন হয় তাই
পরিমিত খাদ্য।
খাবারে
মেশানো হয় এমন দুইটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের নাম হলো- ১. ফরমালিন ও ২.
কার্বাইড।
নিয়মিত
প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ না করার ফলে সৃষ্ট চারটি সমস্যা হলো-
১. শরীর
দুর্বল হয়ে পড়ে,
২. সহজেই
রোগে আক্রান্ত হয়,
৩. শরীরের
কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় ও
৪.
অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
ঙ. সুষম
খাদ্য কাকে বলে? সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন তা
ছয়টি বাক্যে লেখ।
উত্তর: যেসব খাদ্যে পরিমিত পরিমাণে শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি, এই ছয়টি খাদ্য উপাদানই উপস্থিত থাকে সেগুলোকে সুষম খাদ্য
বলে।
সুষম খাদ্য
গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা ছয়টি বাক্যে নিচে উল্লেখ করা হলো-
১.
প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করে।
২. শরীর
সুস্থ ও সবল রাখে।
৩. শারীরিক
দুর্বলতা হ্রাস করে।
৪. রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৫.
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৬. শরীরের
সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
চ. খাদ্য
সংরক্ষণ কী? হিমাগারে খাদ্য সংরক্ষণের তিনটি
সুবিধা লেখ। উৎপাদিত কৃষিপণ্য সারা বছর বাজারে সরবরাহ করতে তুমি কীভাবে সংরক্ষণ
করবে তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: খাদ্য অপচয় রোধ ও দ্রুত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করাই হচ্ছে
খাদ্য সংরক্ষণ।
হিমাগারে
খাদ্য সংরক্ষণের তিনটি সুবিধা হলো-
১. খাদ্যকে
দ্রুত পচন থেকে রক্ষা করা যায়।
২. খাদ্যের
অপচয় রোধ করা যায়।
৩. বিভিন্ন
মৌসুমের খাদ্যদ্রব্য সারা বছর সংরক্ষণে রাখা যায়।
উৎপাদিত
কৃষিপণ্য সারা বছর বাজারে সরবরাহ করতে-
১. চাল, ডাল, গম ইত্যাদি
কৃষিপণ্য রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করব।
২. শাকসবজি
হিমাগারে রেখে সংরক্ষণ করব।
৩. বিভিন্ন
ধরনের কৃষিপণ্য বায়ুরোধী পাত্রে রেখে সারাবছর সংরক্ষণ করব।
ছ. খাদ্য
সংরক্ষণের চারটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নাম লেখ। খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা চারটি
বাক্যে লেখ।
উত্তর: খাদ্য সংরক্ষণের চারটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নাম হলো-
১. ফ্রিজে
সংরক্ষণ,
২. হিমাগারে
সংরক্ষণ,
৩. রোদে
শুকিয়ে সংরক্ষণ ও
৪. বায়ুরোধী
পাত্রে সংরক্ষণ।
খাদ্য
সংরক্ষণের চারটি উপকারিতা নিম্নরূপ-
১. খাদ্যের
অপচয় রোধ করে ও দ্রুত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করে।
২. খাবারে
পচন সৃষ্টিকারী জীবাণু জন্মাতে বাধা দেয়।
৩. বিভিন্ন
মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়।
৪. অনেক
দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ করা যায়।
জ. জাঙ্ক
ফুড কী?
কৃত্রিম রং মেশানো দুটি খাবারের নাম লেখ। জাঙ্ক ফুড
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর- এ সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর: জাঙ্ক ফুড হচ্ছে এক ধরনের কৃত্রিম খাদ্য, যাতে অত্যধিক চিনি, লবণ ও চর্বি থাকে।
কৃত্রিম রং
মেশানো দুটি খাবারের নাম হলো-
১. মিষ্টি ও
২. চকলেট।
জাঙ্ক ফুড
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর-এ সম্পর্কে চারটি বাক্য নিম্নরূপ:
১. জাঙ্ক
ফুড সুস্বাদু হলেও সুষম খাদ্য নয়।
২. জাঙ্ক
ফুডে অত্যধিক চিনি, লবণ ও চর্বি থাকে
যা আমাদের শরীরে খুব সামান্যই দরকার হয়।
৩. সাধারণ
খাবারের বদলে জাঙ্ক ফুড খেলে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়।
৪. জাঙ্ক
ফুড খেলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেয়ে মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
ঝ. কার্বাইড
কী?
তিনটি জাঙ্ক ফুডের নাম লেখ। জাঙ্ক ফুড গ্রহণের ফলে হতে পারে
এমন তিনটি সমস্যা লেখ।
উত্তর: কার্বাইড হলো একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, যা অসাধু ব্যবসায়ীরা ফল পাকাতে ব্যবহার করে।
তিনটি জাঙ্ক
ফুডের নাম হলো-
১. বার্গার, ২. পটেটো চিপস ও ৩. কোমল পানীয়।
জাঙ্ক ফুড
গ্রহণের ফলে হতে পারে এমন তিনটি সমস্যা হলো-
১.
পুষ্টিহীনতা,
২. শরীরের
কর্মক্ষমতা হ্রাস ও
৩. অতিরিক্ত
মোটা হয়ে যাওয়া।
ঞ. নিরাপদ
খাবার কী?
খাদ্য সংরক্ষণ করতে হয় কেন? খাদ্য সংরক্ষণের পাঁচটি উপায় লেখ।
উত্তর: কোনো প্রকার রাসায়নিক দূষণ বা ক্ষতিকর জীবাণুমুক্ত খাবারকে
নিরাপদ খাবার বলা হয়।
খাদ্যের
অপচয় রোধ ও দ্রুত পচন থেকে রক্ষা করার জন্য খাদ্য সংরক্ষণ করতে হয়।
খাদ্য
সংরক্ষণের পাঁচটি উপায় হলো-
১. রোদে
শুকিয়ে সংরক্ষণ করা।
২. ফ্রিজে
বা হিমাগারে রেখে সংরক্ষণ করা।
৩. লবণ দিয়ে
সংরক্ষণ করা।
৪. জ্যাম, জেলি, আচার বানিয়ে
সংরক্ষণ করা।
৫. চিনি, সিরকা বা তেল দিয়ে সংরক্ষণ করা।
ট. খাদ্য
সংরক্ষণ কী? ফ্রিজে খাদ্য সংরক্ষণের তিনটি সুবিধা
লেখ। জাঙ্ক ফুড পরিহারের তিনটি কারণ লেখ।
উত্তর: খাদ্য অপচয় রোধ ও দ্রুত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করাই হচ্ছে
খাদ্য সংরক্ষণ।
ফ্রিজে
খাদ্য সংরক্ষণের তিনটি সুবিধা হলো-
১. খাদ্যের
অপচয় রোধ করে।
২. দ্রুত
পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করে।
৩. বিভিন্ন
মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারাবছর পাওয়া যায়।
জাঙ্ক ফুড
পরিহারের তিনটি কারণ:
জাঙ্ক ফুড
খেলে-
১.
পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়,
২. শরীরের
কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়,
৩. অতিরিক্ত
মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কোন মন্তব্য নেই