Header Ads

Header ADS

চতুর্থ শ্রেণি।। বাংলা ।। আবোল-তাবোল

 আবোল-তাবোল



০১। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখ ।

(ক) কী ছুটছে যাকে থামানো যাচ্ছে না?

উত্তর: কথা ছুটছে যাকে থামানো যাচ্ছে না।

(খ) ধাঁই ধপাধপ আওয়াজে কোথায় তবলা বাজছে?

উত্তর: যে মনের খেয়ালে আবোল-তাবোল কথা বলে যাচ্ছে, থামার কোনো চেষ্টা করছে না তার মনের মাঝে ধাঁই ধপাধপ আওয়াজে তবলা বাজছে।

(গ) কখন গানের পালা সাঙ্গ হলো?

উত্তর: আবোল-তাবোল কথা বলতে বলতে যখন লোকটার চোখে ঘুম ঘনিয়ে এলো তখন গানের পালা সাঙ্গ হলো।

(ঘ) কথায় কী কাটে?

উত্তর: কথায় কাটে কথার প্যাঁচ।

(ঙ) লোকটিকে থামানো যায় না কেন?

উত্তর: লোকটি মনের সুখে অনর্গল কথা বলছে। আর একবার লোকটির কথা ছুটলে তাকে থামানো যায় না। সে কথা বলতেই থাকে।

(চ) লোকটির মনে মাঝে কী বাজে? কীভাবে বাজে?

উত্তর: লোকটির মনের মাঝে তবলা বাজে। তার মনে ধাঁই ধপাধপ তবলা বাজে।

(ছ) আবোল-তাবোল কথা বলার মানে কী?

উত্তর: আবোল-তাবোল কথা বলার মানে হলো মনের খেয়ালে কথা বলতে থাকা। আবোল-তাবোল কথা হলো যে কথার কোনো অর্থ নেই, যে কথা দিয়ে কিছু বোঝাতে চাওয়া হয় না। আবোল-তাবোল কথা এমনি এমনি অহেতুক বলা হয় ।

(জ) লোকটির কথার প্যাঁচ কীভাবে কাটে?

উত্তর: লোকটি ঘুমানোর আগ পর্যন্ত অনেক কিছু চিন্তা করে একাই কথা বলছে। সে নিজেই নিজের কথার উত্তর দিচ্ছে। আর এ কারণেই কথা দিয়ে সে তার কথার প্যাঁচ দূর করছে।

০২। রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর লেখ ।

(ক) লোকটির গানের পালা সাঙ্গ হলো কেন? চারটি বাক্যে লেখ।

উত্তর: লোকটি ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আবোল-তাবোল কথা বলে। সে মনের আনন্দে কেবলই বকবক করে কথা বলে চলেছে। যতক্ষণ তার দুচোখে ঘুম না নামল, ততক্ষণ সে এমনটাই করে গেল। অর্থাৎ ঘুমিয়ে পড়ার কারণে তার গানের পালা সাঙ্গ হলো।

(খ) আমরা সাধারণত কথা বলি কেন? আর আবোল-তাবোল কথা বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ লেখ।

উত্তর: আমরা সাধারণত কথা বলি যাতে অন্যে সে কথা শোনে এবং শুনে কিছু একটা করে। যেমন- যদি বলি মা, ক্ষুধা লেগেছে, ভাত খাব। মা তখন আমাকে ভাত দিতে ব্যস্ত হবেন। কিন্তু যদি ভূতের মতো নাকি সুরে বলি, "আউ মাঁউ খাঁউ ভাঁতের গন্ধ পাউ, আমার ক্ষুধা লেগেছে মাঁউ" মা তখন ভাববেন, আমি দুষ্টুমি বা মজা করছি। এটা তখন আবোল-তাবোল বা অকারণ কথা হয়ে গেল। সুতরাং আবোল-তাবোল কথা বলতে বুঝি মনের খেয়ালে কথা বলতে থাকা। যে কথার অর্থ নেই, যে কথা দিয়ে কাউকে কিছু বোঝানো হয় না, যা অহেতুক বা 'অকারণ তাই হলো আবোল-তাবোল কথা।

3। 'আবোল-তাবোল' কবিতাটির মূলভাব লেখ

উত্তর: আবোল-তাবোল কথা বলার মানে, মনের খেয়ালে কথা বলতে থাকা। আমরা কথা বলি যাতে অন্যে সে-কথা শোনে এবং শুনে কিছু একটা করে। যেমন, যদি বলি- মা, ভাত খাব। মা তখন আমায় ভাত দিতে ছুটবেন! কিন্তু যদি ভূতের মতো নাকি সুরে বলি 'আঁউ মাঁউ খাঁউ ভাঁতের গন্ধ পাউ' তখন মা ভাববেন, আমি খেলা করছি। সেটা তখন আবোল-তাবোল কথা হয়ে গেল, যে কথার অর্থ নেই, যে কথা দিয়ে কিছু বোঝাতে চাইছি না

৪। শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন কর:

শব্দ

বাক্য

তবলা

ছেলেটি ভালো তবলা বাজায়।

প্যাঁচ

দড়িটায় প্যাঁচ লেগেছে।

ঘুম

ঘুম শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

সাঙ্গ

আমার যাত্রা সাঙ্গ হলো।

কথা

বাচ্চাটি এখনো কথা বলতে শেখেনি।

 
৫। বিপরীত শব্দ:

মূল শব্দ

বিপরীত শব্দ

থামায়

চালায়

আজকে

কালকে

মাঝে

বাইরে

সাজ্জা

শুরু

ঠেকায়

চালায়

আমার

তোমার

ঘন

হালকা

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.