৫ম শ্রেণি।। বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় ।। জলবায়ু ও দুর্যোগ ।। রচনামূলক প্রশ্ন
জলবায়ু ও দুর্যোগ
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
পঞ্চম শ্রেণি
(ক) বাংলাদেশের
কোন অঞ্চলগুলো ভূমিকম্পপ্রবণ?
উত্তর: ভূমিকম্প ঝুঁকি অনুযায়ী ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশকে তিনটি। প্রধান অঞ্চলে
ভাগ করা হয়েছে। যথা-
ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ১: সিলেট বিভাগসহ নেত্রকোনা, শেরপুর, কুড়িগ্রাম জেলা এবং
ময়মনসিংহ,
কিশোরগঞ্জ, জামালপুর,, গাইবান্ধা, রংপুর ও লালমনিরহাট
জেলার অংশবিশেষ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে।
ভূমিকম্পপ্রবণ
এলাকা ২ ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার 'ইত্যাদি জেলা মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে রয়েছে।
ভূমিকম্পপ্রবণ
এলাকা ৩: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তুলনামূলকভাবে কম ভূমিকম্পপ্রবণ।
(খ) আবহাওয়া
কী? প্রাকৃতিক
দুর্যোগের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে কেন? আমরা কীভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ রোধ করতে পারি।
উত্তর: কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাতই হলো আবহাওয়া।
প্রাকৃতিক অবস্থান এবং জলবায়ুগত কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের
সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। আমরা যেভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ রোধ করতে পারি তা হলো-
১. অধিক
হারে বৃক্ষ রোপণ করা।
২. সামাজিক
সচেতনতা সৃষ্টি।
৩. পাহাড় না
কাটা।
৪.
পরিকল্পিত নগরায়ণ।
৫. সরকারের
যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(গ) জলবায়ু কী? জলবায়ু বদলে যাচ্ছে কেন? বাংলাদেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের পাঁচটি প্রভাব লেখ।
উত্তর: সাধারণত ৩০-৪০ বছরের বেশি সময়ের আবহাওয়ার গড়কে জলবায়ু বলে।
বিভিন্ন কারণে জলবায়ু বদলে যাচ্ছে। এর অন্যতম একটি কারণ
মানবসৃষ্ট দূষণ। যেমন- শিল্প কারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের পাঁচটি
প্রভাব হলো-
১. গড়
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২. বারবার
ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে।
৩. মাটির
লবণাক্ততা বেড়ে কৃষিজমির ক্ষতি হচ্ছে।
৪.
ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে।
৫.
অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি হচ্ছে।
(ঘ) খরা কী? মানবসৃষ্ট তিনটি খরার কারণ লেখ। খরার চারটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
উত্তর: দীর্ঘকালীন শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক
দুর্যোগই খরা।
মানবসৃষ্ট খরার তিনটি কারণ হলো-
১. গাছ কেটে
ফেলা।
২. অধিক
হারে ভবন নির্মাণ করা।
৩.
কলকারখানার মাধ্যমে বায়ু দূষণ।
খরার চারটি
ক্ষতিকর প্রভাব হলো-
১. পুকুর, নদী, খাল ও বিল শুকিয়ে
যায়।
২. ফসল নষ্ট
হয়।
৩. গবাদি
পশুর খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
৪. পানির
অভাব দেখা দেয়।
উত্তর: নদীভাঙন কী? নদীভাঙনের দুটি মানবসৃষ্ট কারণ লেখ। নদীভাঙনের পাঁচটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ। প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট কারণে
নদীর পাড় ভেঙে যাওয়াকে নদীভাঙন বলে।
নদীভাঙনের
দুটি মানবসৃষ্ট কারণ হলো-
১. নদী থেকে
বালি উত্তোলন।
২.
নদী-তীরবর্তী গাছপালা কেটে ফেলা।
নদীভাঙনের
পাঁচটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-
১. মূল্যবান
কৃষিজমি নষ্ট হয়।
২. বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিলীন হয়।
৩. সড়ক বা
রাস্তাঘাট নষ্ট হয়।
৪.
হাট-বাজার বিলীন হয়।
৫.
অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন হয়।
কোন মন্তব্য নেই