রচনা।। বাংলাদেশের প্রাণী/ সুন্দরবনের প্রাণী।। ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির জন্য
বাংলাদেশের প্রাণী / সুন্দরবনের প্রাণী
সংকেত: ভূমিকা; বিলুপ্ত প্রাণী; সুন্দরবনের প্রাণী; জীববৈচিত্র্য
সংরক্ষণ; উপসংহার।
ভূমিকা: প্রাণী, গাছপালা, পাখি সবকিছুই
প্রকৃতির দান। এ সবকিছুরই টিকে থাকার প্রয়োজন আছে। কারণ গাছপালা, লতাপাতা ছাড়া পশুপাখির চলে না, আবার পশুপাখি ছাড়া গাছপালার চলে না। এভাবে প্রকৃতির সবই
একটি অন্যটির ওপর নির্ভরশীল।
বিলুপ্ত প্রাণী: বাংলাদেশের অনেক
এলাকাজুড়ে একসময় বনভূমি ছিল। সেসব বনে ছিল বাঘ, ভালুক, গণ্ডার, হাতিসহ অনেক প্রাণী। চিতাবাঘ, গুলবাঘ, ভালুক এখন আর দেখা যায় না। গণ্ডারও
যথেষ্ট সংখ্যায় এখন আর নেই। সুন্দরবনেও শিকারিদের দাপটে অনেক প্রাণী শেষ হয়ে গেছে।
সুন্দরবনের প্রাণী: পৃথিবীর সবচেয়ে বড়
ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। পৃথিবী বিখ্যাত 'রয়েল বেঙ্গল
টাইগার'
কেবল সুন্দরবনেই আছে। বাংলাদেশের দক্ষিণে সমুদ্রের কোল
ঘেঁষে বিশাল এলাকাজুড়ে সুন্দরবনের অবস্থান। এ বন বন্যপ্রাণী সম্পদে এখনও সমৃদ্ধ।
এখানে রয়েছে হরিণ, ডোরা বাঘ, মেছো বাঘ, চিতা বিড়াল, বানর, শেয়াল, বনবিড়াল, বেজি, বন্যশূকর, সজারু, বাদুড়, ডলফিন, কুমির, সাপসহ নানা রকম
প্রাণী ও পাখি।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ: জীবজন্তু-পশুপাখি
একটি দেশের অমূল্য সম্পদ। নানা রকম প্রাণী, পাখি,
গাছপালা, লতাপাতা মিলে
প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি হয়। প্রকৃতিতে বিভিন্ন প্রাণীর উপস্থিতি আছে বলেই পরিবেশের
ভারসাম্য টিকে আছে। প্রাণী ও প্রকৃতির এই মেলবন্ধন যদি কোনো কারণে বিনষ্ট হয়ে যায়
তাহলে প্রকৃতি তার স্বাভাবিক গতি হারাবে। তাই
প্রকৃতির সকল প্রাণী সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। বিনা কারণে পশু শিকার করে পরিবেশের
স্বাভাবিকতা নষ্ট করলে মানবজাতি হুমকির সম্মুখীন হবে। এই জন্য প্রকৃতির
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সকলের সচেতন হওয়া উচিত।
উপসংহার: পরিবেশ ও
প্রাণিবিজ্ঞানীরা কিছু কিছু গাছ, প্রাণী, পাখি বিলুপ্ত হওয়ার জন্য খুবই চিন্তিত। আর যেন কোনো কারণেই
কোনো প্রাণী ধ্বংস না হয়, সেজন্য কঠোর
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই